ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যক্রম গতিশীল করতে ডিজিটাল ডাটা সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। এতে সব ধরনের জাল-জালিয়াতি যেমন বন্ধ হবে তেমনি দালালের খপ্পরে না পড়ে বিচারপ্রার্থীরা পাবেন হয়রানি বিহীন সেবা।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল কার্যক্রমে হিসাব-নিকাশ, পাঠাগারসহ যাবতীয় কার্যক্রম রয়েছে। এছাড়া ওকালতনামা, বেইলবন্ড, রিলিজ পেপার, হাজিরাসহ অন্যান্য কাগজাদি ডিজিটালকরণ করা হয়েছে। উল্লেখিত কাগজাদিতে ছবিসহ আইডি প্রিন্ট থাকবে। সমিতির ভেনাবোলেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য হিসাবাদি ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত থাকবে।
প্রতি মাসে সাধারণ আইনজীবীদের কাগজাদি বিক্রির হিসাবও এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে। প্রতিজন আইনজীবীর ছবি, সমিতিতে তার সদস্য নম্বর থাকবে। আরও রাখা হচ্ছে কিউআর কোড। কিউআর কোডটি স্ক্যান করলে যেকেউ তাৎক্ষণিকভাবে ওই আইনজীবীর নাম-ঠিকানা জানতে পারবেন। ওই আইনজীবী কবে বার কাউন্সিলে নিবন্ধিত হয়েছেন, সেটিও জানা যাবে।
আরও জানা যায়, ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর ফলে এখন থেকে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে। যে কেউ ইচ্ছে করলে ওকালতনামা কিনতে পারবে না। আইনজীবীর মাধ্যমে কিনতে হবে। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩৯৮ জন। সফটওয়্যারে সব আইনজীবীর তথ্যসংবলিত ডিজিটাল ডাটাবেইস তৈরি করা হয়েছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেহ মোহাম্মদ রুহুল ইমরান।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ কায়সার মোশাররফ ইউসুফ ও রেজাউল করিম, সমিতির সাবেক সভাপতি ফরিদ আহম্মদ হাজারী, নুর হোসেন, সাহাব উদ্দিন আহমেদসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেহ মোহাম্মদ রুহুল ইমরান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার, পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ, জিপি প্রিয়রঞ্জন দত্ত, সমিতির সাবেক সভাপতি মীর হোসেন মীরু, এএসএম আনোয়ারুল করিম ফারুক।