দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ এর ধারা ২৮ (৩) ও ২৯ (২) সংশোধন করে ভুয়া ডাক্তারের যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের সাজাসহ যথাযথ জরিমানার বিধান চেয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর আদেশ দেওয়ার জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন আবেদনে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ এর ধারা ২৮ (৩) ও ২৯ (২) সংশোধন করে ভুয়া ডাক্তারের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডসহ জরিমানা বাড়াতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে সাজা বাড়ানোর জন্য কেন সুপারিশ করা হবে না, সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও রেজিস্ট্রার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।
রিটের বিষয়ে আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডাক্তারদের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আইনে যে সাজার বিধান রয়েছে, একজন ভুয়া ডাক্তারের চিকিৎসার কারণে মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় তা অত্যন্ত নগণ্য। এ কারণে দেশে ভুয়া ডাক্তারদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবাও দিনে দিনে হুমকির মুখে পড়ছে।