দেশের কারা হাসপাতালগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা এক রুল শুনানিতে আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আজ প্রতিবেদন দাখিল করে বলেছে, কারাগারগুলোতে ৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ ও সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ৪৮টি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সময় প্রয়োজন।
পরে আদালত শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন, যোগ করেন এই আইনজীবী।
এর আগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১১২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৪১টি পদের মধ্যে ১১২টি পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আদালতে দেওয়া আরেক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন ১০ জন। ওই প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আজ আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, ২০১৯ সালের ২৩ জুন এক আদেশে আদালত সারাদেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। ওই নির্দেশ অনুসারে কারা মহাপরিদর্শক ব্রি.জে একেএম মোস্তফা কামাল পাশার পক্ষে ডেপুটি জেলার মুমিনুল ইসলাম একটি প্রতিবেদন দেন। এ বিষয়ে রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় আজ সারাদেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।