বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাজেটের ব্যয় হ্রাস করণের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিছু ক্ষেত্রে বাজেট ব্যয় স্থগিত বা বন্ধ রাখাতে বলা হয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাজেটের অধীনে ভূমি অধিগ্রহণ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বাজেটের অধীন আবাসিক, অনাবাসিক ভবন ও স্থাপনাসমূহের ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় করা যাবে না।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যেটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সচিব বরাবর দেওয়া হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে জারিকৃত এ পরিপত্র অবিলম্বে কার্যকর হবে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ হতে ইতোপূর্বে জারিকৃত স্মারক ও পরিপত্রের অনুবৃত্তিক্রমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাজেটের নিম্নবর্ণিত খাতসমূহে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় স্থগিত/হ্রাসকরণের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
যারমধ্যে রয়েছে- পরিচালন বাজেটের অধীন ‘৪১৪১১০১ ভূমি অধিগ্রহণ’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ; পরিচালন বাজেটের অধীন ভবন ও স্থাপনাসমূহ (৪১১১১০১ আবাসিক ভবন, ৪১১১২০১ অনাবাসিক ভবন, ৪১১১৩১৭-অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের বিপরীতে নতুনভাবে কার্যাদেশ দেওয়া যাবে না। ইতোমধ্যে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে কেবলমাত্র এরূপ ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় নয়; পরিচালন বাজেটের আওতায় ‘যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি’ (৪১১২২০২-কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, ৪১১২৩০৩-বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, ৪১১২৩১৪-আসবাবপত্র ও ৪১১২৩১৬ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণভাবে স্থগিত রাখা।
বর্ণিত এসব খাতসমূহে বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কোনো খাতে বা অন্য কোনো খাত থেকে এসব খাতে পুনঃউপযোজন করা যাবে না।