জমি কেনাবেচায় বর্তমানের মৌজা দর পদ্ধতি আরো দুই বছরের জন্য বহাল রাখা হয়েছে। ফলে এখন থেকে পরবর্তী দুই বছর মৌজা দরেই জমির নিবন্ধন বা দলিল সম্পন্ন করা যাবে।
রোববার (১ জানুয়ারি) থেকে এ পদ্ধতি কার্যকর করেছে সরকার। গত ২৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে স্মারক জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজারমূল্য নির্ধারণ বিধিমালা-২০১০ (সংশোধিত ২০১২ ও ২০১৫) অনুযায়ী প্রণীত বাজারমূল্য তালিকা ১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য কার্যকর করা হল এবং তদানুযায়ী দলিল রেজিস্ট্রির জন্য বলা হল।
প্রসঙ্গত, মৌজা দর (রেট) অনুযায়ী জমি কেনাবেচা বা নিবন্ধন হয়ে থাকে। মৌজা দর মানে হচ্ছে সর্বনিম্ন দর। অর্থাৎ কম দাম দেখিয়ে কেউ জমি কেনাবেচা করতে পারবেন না। মৌজা দর নির্ধারণের কাজ হয় ‘সর্বনিম্ন বাজারমূল্য বিধিমালা’ অনুযায়ী। সারা দেশের বিভিন্ন এলাকার মৌজা দর সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় ২০১৬ সালে, যা পুনরায় ২ বছরের জন্য বহাল রাখা হল।
বিধিমালা অনুযায়ী, বাজারমূল্য নির্ধারণ করে একটি কমিটি। কমিটির মাধ্যমে দুই বছর পরপর বাজারমূল্য হালনাগাদ করা হয়। এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ে (২২ মাস) দলিলে উল্লেখ করা দামের (হস্তান্তর মূল্য) গড় করে নতুন বাজারদর নির্ধারণসংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরি করা হয়। পরে মৌজা দর চূড়ান্ত করেন নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক।