মারুফ আল্লাম : আদালত বয়কট কিংবা বিচারকের কাজে বাধা প্রদানের মতো যেকোনো কর্মকাণ্ডকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে সারাদেশের সকল আইনজীবীর ওপর ২০০৫ সনেই নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। বিচারপতি মোঃ আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ২৩ মে ২০০৫ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। 15 BLT (2007) 66 তে এই আদেশ রিপোর্টেড হয়েছে।
প্রেক্ষাপট
হাইকোর্টের একজন বিচারপতির এলএলবি ডিগ্রি বাতিল হলে বিষয়টি উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়। বিষয়টি বিচারাধীন থাকার পরও আইনজীবীরা ওই বিচারকের আদালতে প্রবেশ করে তাকে বিচারকাজ করা থেকে বাধা প্রদান করে। বারে রেজ্যুলুশন পাশ করে ওই বিচারকের কোর্ট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং প্রধান বিচারপতির কোর্ট বয়কটের হুমকি দেয়া হয়। আদালত চলাকালে আদালতের করিডরে মিছিল করা হয়। এতে বিচারকাজ বিঘ্নিত হয়। আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির পথ রুদ্ধ করে দিয়ে পুরো কোর্ট অচল করে দেয়ার হুমকি দেয়।
এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি মোঃ আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোর্ট বয়কট ও কোর্টের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করা থেকে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ওই আদেশে কেবল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ওপর নয়, বরং সারাদেশের সকল আইনজীবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট।
ফলে দেশের যেকোনো আদালত বয়কট করা কিংবা আদালতের কাজে বাধা দেয়া থেকে আইনজীবীরা হাইকোর্টের আদেশ দ্বারা বারিত। এধরনের কর্মকাণ্ডকে আদালত অবমাননা হিসেবেও চিহ্নিত করেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ কার্যকর করতে বার কাউন্সিলকে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং আদেশটি মিডিয়ায় প্রচার করতে রেজিস্ট্রার মহোদয়কে নির্দেশ দেয়া হয়।
আদেশে হাইকোর্ট বলেন, আইন ও আদালতে অবারিত প্রবেশাধিকার বিচারপ্রার্থীদের সাংবিধানিক অধিকার, যা রক্ষা করা আদালতেরই কর্তব্য। কোনো আইনজীবী এই অধিকারে বাধা দিলে বা কোর্ট বয়কট করলে সেটি হবে পেশাগত অসদাচরণ, বিচারকাজে বাধাদান, আদালত অবমাননা ও ফৌজদারি অপরাধ।
আদেশের চুম্বকাংশ নিম্নরূপ
Since our Republic was established pledging amongst others the rule of Law and fundamental human rights ensuring to every citizen a ‘right to have unimpeded access to justice and to the courts of law, it is the Constitutional duty of this court to protect such right by ensuring uninterrupted functioning of this court. Lawyers have no right to strike i.e. to abstain from appearing in the court or boycott the court in the name of strike or otherwise and no lawyer has any right to obstruct or prevent another lawyer from discharging his professional duty and if he does it he commits professional misconduct, interference with the administration of justice and contempt of court and also a criminal offence and is liable to be proceeded against on all these court.
Some local Bar Association are also resorting to the same tactics on flimsy grounds or grounds having no nexus with the judiciary. The Supreme court Bar Association, the symbol of the legal fraternity both on and off the Bench is on the verge of disintegration and state of confrontation is looming large on the horizon threatening the whole justice delivery system.
In the premises aforesaid this court in exercise of its inherent power and under Article 108 of the Constitution, of its own motion and ex parte orders as under:-
All Advocates on the Roll of the Advocates prepared and maintained under section 20 of the Bangladesh Legal Practitioner and Bar Council Order 1972 and all persons having notice of this order are hereby restraint and in injunction is hereby granted restraining every one of them until, further order
from boycotting or abstaining from attending any. court of Law in Bangladesh either on the basis of any resolutions passed by or decisions of any bar association or the Bangladesh Bar Council or otherwise howsoever or restraining, discouraging or persuading any Advocate or litigant or anyone having any business in any of the Courts of Bangladesh by any means whatsoever from attending or appearing before any such court.
from gathering congregating or picketing or carrying out any “gheroa” at the entrances to any court of Law or within the precincts of the said Courts.from engaging in any activities whatsoever which are calculated interfere with the administration of justice or operation of any court of law in Bangladesh or to restrict or limit access of all persons to the court, their administrative officers and their precincts and from bringing out or holding any procession Rally or human chain or sit-in-strike in the Supreme court premises or any court premises in the name of any forum of organization of Bar Association
from issuing leaflets, banners, making, giving or publishing statements publicly in any way whatsoever whether to or by the press and other media or otherwise of any of the acts prohibited under Paragraph 1 and 2 and 3 above.
উপরোক্ত রায়টির অনুলিপি পেতে লিংকে ক্লিক করুন।
লেখক : জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, রাজশাহী