মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও এক প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৯ জানুয়ারী) কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (সদর) দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ও স্থানীয় দৈনিক ইনানী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শফিউল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামী করা হয়েছে দৈনিক বাংলার রিপোর্টার আরিফুজ্জামান তুহিন ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টুকে। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার নালিশী দরখাস্তে বলা হয়, গত ৬ জানুয়ারী ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রধান শিরোনামে “২৫৫ জনের তালিকায় বদির কেউ নেই” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদে পুলিশের কাছ থেকে ইয়াবা কেনার অ্যাখা দিয়ে মামলার বাদী শফিউল্লাহ’র নামটি সংযোজন করা হয়। পরে মামলার বাদী আসামীদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে প্রকাশিত সংবাদের কারণ জানতে চাইলে আসামীরা এ ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
পরে একই সংবাদটি দৈনিক বাংলার অনলাইন ভার্সনেও প্রচারিত হয়। কিন্তু অনলাইন ভার্সনের নিউজে বাদী শফিউল্লাহ’র নামটি কেটে দেয়া হয়। দৈনিক বাংলায় মনগড়া এ ধরণের সংবাদ প্রকাশের কারণে শফিউল্লাহ বাদী হয়ে ফৌজদারী দন্ড বিধির ৫০০/৫০১/৫০২/৫০৪/৫০৬ (২) ধারায় সোমবার সকালে ১০০ কোটি টাকার আর্থিক ও মানহানি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মামলার বাদী শফিউল্লাহ বর্তমানে দৈনিক যুগান্তরের পাশাপাশি কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইনানী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন। তাছাড়া তিনি ইতিপূর্বে বৈশাখী টেলিভিশন, দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক যুগান্তরে কক্সবাজার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের মৃত নজর আলী ও মরিয়ম বেগমের পুত্র। বর্তমানে কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটস্থ বদরমোকাম এলাকার আইমান প্যালেসে বসবাস করেন।
মামলার বাদী শফিউল্লাহ বলেন, আমি একজন পেশাদার সংবাদকর্মী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমার পেশাগত ও ব্যবসায়ীক সুনামে ক্ষুন্ন করার জন্যই দৈনিক বাংলায় এই ধরণের উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি চরমভাবে আমার মানহানি হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল এবং সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন।