‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার (৯ জানুয়ারি) বৈঠকে বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো নিস্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
১৯৮২ সালে সামরিক আমলে অধ্যাদেশ দিয়ে এ সংক্রান্ত আইন করা হয়। সেটি বাতিল করে বাংলায় নতুন এই আইনটি প্রণয়ন করা হচ্ছে।
বিলে বলা হয়েছে, একজন বিচারককে তার মোট কর্মকালীন ছুটির শর্ত অনুযায়ী, অর্ধ গড় বেতনে মোট ৩৬ মাসের অধিক ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না। কোনও বিচারকের প্রকৃত কর্মকালের এক-চব্বিশাংশ ভাগ মেয়াদ পর্যন্ত তাকে পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাবে। পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি এককালীন পাঁচ মাস এবং অন্য কোনও ছুটি এককালীন ১৬ মাসের অধিক মঞ্জুর করা যাবে না। কোনও বিচারক পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালে তার নির্ধারিত মাসিক বেতনের সমান হারে ছুটিকালীন বেতন প্রাপ্য হবেন।
কোনও বিচারক অনভিপ্রেত কোনও আঘাতের দ্বারা বা কারণে অথবা স্বীয় দায়িত্ব পালনকালে আহত হয়ে কর্মে অক্ষম হলে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রাপ্য হবেন।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, অবসরের পর প্রধান বিচারপতি তার জীবদ্দশায় গৃহ সহায়ক, গাড়িচালক, দারোয়ান সেবা, সাচিবিক সহায়তা এবং অফিস কাম বাসভবনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা বিশেষ ভাতা পাবেন।
বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি বিচারকদের পেনশন ও আনুতোষিক মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হবেন। অবসরে যাওয়া বিচারকেরা উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ভাতা পাবেন।