‘অ্যাওয়ার্ড ফর গ্লোবাল লিডারশিপ’ -এ ভূষিত হচ্ছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড়। দেশে এবং সারা বিশ্বে আইন পেশায় তাঁর আজীবন সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ হার্ভার্ড ল স্কুল সেন্টার কর্তৃক এ পুরস্কারের জন্য তাঁকে নির্বাচিত করা হয়।
আগামী ১১ জানুয়ারি একটি অনলাইন ইভেন্টে তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে হার্ভার্ড ল স্কুলের অধ্যাপক ডেভিড উইলকিন্সও ভারতের প্রধান বিচারপতির সাথে বাক্যালাপ করবেন।
চন্দ্রচূড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে এলএলএম ডিগ্রি এবং জুরিডিকাল সায়েন্সে (এসজেডি) ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
গত ৯ নভেম্বর দেশটির ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী দুই বছর প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের মূল নিবাসী ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় এর পিতা যশবন্ত চন্দ্রচূড় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ১৬তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন। জনতা পার্টির সময়ে প্রধান বিচারপতি হয়ে ইন্দিরা গাঁধীর দ্বিতীয় দফা অব্দি ছিলেন। তিনি একাধিক ঐতিহাসিক রায় দিয়ে ভারতের সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।
ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রধান বিচারপতি হওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতীয় বিচার বিভাগে বাবার পর ছেলেও প্রধান বিচারপতি হওয়ার প্রথম নজির তৈরি হয়।
১৯৯৮ সালে দেশের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ২০১৩ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথগ্রহণ করেন। বম্বে হাইকোর্টের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।
একাধিক আধুনিকমনস্ক বিচারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নাম। অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার নিশ্চিত করা যার মধ্যে সাম্প্রতিকতম।
হোমো সেক্সুয়ালিটি কোনও অপরাধ নয় বলে সুপ্রিম কোর্টে যে ঐতিহাসিক রায়, সেই মামলার বিচারপতিদের বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়।
ব্যক্তি তথ্যের সংরক্ষণ মৌলিক অধিকার থেকে শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার বা অযোধ্য-বাবরি মসজিদ মামলাসহ একাধিক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়।