মিথ্যা মামলা দিয়ে আইনজীবীর পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ
মিথ্যা মামলা

মিথ্যা মামলা দিয়ে আইনজীবীর পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঢাকা জজ কোর্টের এক আইনজীবীর পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য নেত্রকোনার পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।

ওই আইনজীবীর নাম মামদুদ খান। তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির নিয়মিত সদস্য।

গত ৯ জানুয়ারি করা লিখিত আবেদনে অ্যাডভোকেট মামদুদ খান উল্লেখ করেন, নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মাখনা গ্রামের মানিক মিয়া ও আব্দুল মজিদ মিয়া পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। সম্পর্কে তাঁরা বেয়াই।

গত ১২ জুন মানিক মিয়ার ছেলে সাজাদ মিয়া এবং আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে কবির হোসেনের মধ্যে হাঁস নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মানিক মিয়ার ছেলেরা কবিরকে মারধর করে।

এ ঘটনায় মজিদ মিয়ার স্ত্রী কুহিনুর বেগম বাদী হয়ে গত বছরের ৬ জুলাই মদন থানায় মামলা করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ৩২৩/৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এর জের ধরে গত ২৭ ডিসেম্বর মানিক মিয়ার ছেলেদের সাথে মজিদ মিয়ার ছেলেদের সংঘর্ষ বাধে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে সংঘর্ষে কবির হোসেনের চাকুর আঘাতে তারই চাচাতো বোনের জামাই সাজাদ মিয়া গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মশিউর রহমান আজাদ বাদী হয়ে ১৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করে এবং ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মদন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনায় জড়িত থাকাদের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ পূর্বক ঘটনার দিন ও পরের দিন বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত এবং প্রচারিত হয়।

অথচ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও এবং ঘটনার সাথে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও মো. কবির খাঁ (৬৫) এবং মো. ওমর খাঁ (৬৮) কে এজাহার নামীয় ২ ও ৩ নং আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মামদুদ খান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি কুচক্রী মহলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে উক্ত ঘটনার সহিত কোন ভাবে জড়িত না থাকার পরও আমার অসুস্থ ও বয়স্ক পিতা কবির খাঁ এবং চাচা মো. ওমর খাঁকে মূল আসামী করে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।

এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য দাবি জানান এই আইনজীবী।