বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে নির্বাচেনে তার প্রার্থী হতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
এদিকে উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, ‘আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। আগামীকাল থেকে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে গতকাল (সোমবার) বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিরো আলম প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।
প্রসঙ্গত, দলীয় সিদ্ধান্তে ওই দুটি আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেন। এপ্রেক্ষিতে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হিরো আলম। কিন্তু ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর গরমিলের কারণ দেখিয়ে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে হিরো আলম মনোনয়ন গ্রহণ ও বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে। সেই আপিলও গত ১২ জানুয়ারি খারিজ করেন নির্বাচন কমিশন।
এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন হিরো আলম।