ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় শব্দ দূষণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা সমস্যায় ভুগছেন এমন ট্রাফিক পুলিশ ও নিবন্ধিত রিকশাচালকদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শব্দ দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাফিক পুলিশ ও রিকশাচালকদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রুলসহ এ আদেশ দেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লার পুলিশ কমিশনার, মেয়রদের আগামী চার মাসের মধ্যে হলফনামা করে এ তালিকা দিতে বলা হয়েছে।
রুলে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ এর বিধি ৭ ও ৮ অনুসারে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং শব্দ দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাফিক পুলিশ ও রিকশাচালকদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন মেয়র, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আওলাদ হোসেন।
‘রাজপথে শব্দদূষণ/কানের সমস্যায় বেশি ভুগছে রিকশাচালক ও ট্রাফিক পুলিশ’ শিরোনামে গত বছর ৯ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে গত সপ্তাহে জনস্বার্থে এ রিট আবেদনটি করা হয়।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্ট সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চেয়েছেন। তালিকা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কতজনকে কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাইবো, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।