যমুনা টেলিভিশনের গাইবান্ধা করেসপন্ডেন্ট জিল্লুর রহমান পলাশসহ পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা সুন্দরগঞ্জের সাবেক পিআইও নুরুন্নবী সরকারের মানহানির দুই মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠন বাতিল চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশের জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রংপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রাজু আহম্মেদ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়।
আদালতে সাংবাদিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ফরহাদ হোসেন লিটু। নুরুন্নবী সরকারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম।
আদালতে শুনানিকালে বিবাদি পাঁচ সাংবাদিকের মধ্যে জিল্লুর রহমান পলাশ, শেখ মামুন-উর-রশিদ ও একেএম শামছুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের পক্ষের আইনজীবী মো. ফরহাদ হোসেন লিটু। তিনি বলেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে করা মানহানির দুই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সাংবাদিকদের পক্ষে আদালতে আবেদনসহ নানা তথ্য-প্রমাণ দাখিল করা হয়। অভিযোগ গঠন শুনানির ধার্য তারিখে আদালতে মামলা দুটির বিষয়ে দীর্ঘ শুনানি করা হয়।
আইনজীবী ফরহাদ হোসেন বলেন, উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি আদেশের দিন ধার্য করেছেন। আশা করি এই মামলায় সাংবাদিকরা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পাবেন।
প্রসঙ্গত, ঘুষ ও দুর্নীতির কর্মকাণ্ডে আলোচিত পিআইও নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করে যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। তদন্তে আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের প্রমাণ মেলায় তার বিরুদ্ধে একাধিক বিভাগীয় মামলাসহ লঘুদণ্ড দেয় অধিদফতর।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের ১২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রংপুর আদালতে মানহানির দুটি মামলা করেন নুরুন্নবী সরকার। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্ত শেষে সাত জনকে অব্যাহতি দিয়ে সাংবাদিক পলাশসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।