বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্ধিত সভায় দুই দফায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে শুরু হওয়া সভার প্রথমভাগে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বক্তব্যের সুযোগ না দেওয়ায় হট্টগোলের সূত্রপাত হয়।
দুপুর ১টার দিকে মঞ্চে বসে থাকা বিএনপি থেকে নির্বাচিত অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট এ কে এম বদরুল আনোয়ার দাঁড়িয়ে যান। বক্তব্যের সুযোগ না দেওয়ায় তারা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
এ সময় বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান সভার বিরতি ঘোষণা করেন। বিরতি শেষে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে সভা আবার শুরু হয়।
শুরুতে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিএনপি থেকে নির্বাচিত সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীনের নাম ঘোষণা করা হয়। তার বক্তব্য শেষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সুপ্রিম কোর্টের বারের তিনবার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। দুইবার দায়িত্ব পালন করেছি। চলতি সেশনেও নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু নির্বাচনের ৪৫ দিন পর জোর করে অন্যজনের নাম সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখনো আমি সম্পাদক।’
এ সময় আওয়ামী লীগ পন্থী আইনজীবীরা বলেন, ‘আপনি সম্পাদক নন। মিথ্যাচার করবেন না।’
এ বক্তব্যের রেশ ধরে বেশ হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে ১৫/২০ মিনিট পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
বর্ধিত সভায় নিন্ম আদালতের বিচারক ও আদালতের পেশকার-অফিস সহকারীদের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরেন বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এসব বিষয়ে আইনজীবীদের নিজেদের হাতে আইন তুলে না নেয়ার অনুরোধ করেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।