খেলাপি ঋণ আদায়ে যথাসময়ে মামলা না করায় দেশের বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শিরিন করপোরেশনের মালিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ওয়ান ব্যাংকের একটি মামলায় চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আদেশে যেসব কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে আইনের মেয়াদের মধ্যে মামলা করা সম্ভব হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই আদেশে আসামিদের বিরুদ্ধে কেন দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া করা হবে না, তা আগামী ৮ মার্চ পাসপোর্টসহ আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম শাহেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় শিরিন করপোরেশনের মালিক সুলতানা শিরিন আক্তার ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে ওয়ান ব্যাংক। বিবাদীদের কাছে ব্যাংকের দায় ৬০ কোটি ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৯০৪ টাকা।
আদেশের পর্যবেক্ষণে আদালত উল্লেখ করে, মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনায় সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, ব্যাংক বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালত আইনের ৪৬ ধারা মোতাবেক যথাসময়ে মামলা করেনি। মামলা দায়েরযোগ্য হওয়ার ন্যূনতম ২ বছর পর এই মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা অর্থঋণ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বাদী ব্যাংকের চরম দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক।