তরুণ আইনজীবীদের আইকন খ্যাত সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত নির্বাচিত সদস্য এবং কমপ্লেইন্ট এন্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা) -এর ৪৭তম জন্মদিন আজ।
আইনজীবী পরিবারের সন্তান সাঈদ আহমেদ রাজা ১৯৭৬ সালের ২৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, গরীবের আইনজীবী খ্যাত প্রয়াত সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার।
১৯৯৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর বাবা আবদুল বাসেত মজুমদারের ঘনিষ্ঠজন তৎকালীন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আমিনুল হক, বার কাউন্সিলের সে সময়কার লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামসহ বার কাউন্সিলের তৎকালীন নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যদের পরামর্শে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ন্যাশনাল ল’ স্কুল অব ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটিতে আইন পড়তে যান। সেখান থেকে বিএ এলএলবি শেষ করে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন : আইন শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই প্রয়োজন
পরবর্তীতে ২০০০ সালে তিনি বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। হয়েছেন আপিল বিভাগের আইনজীবীও। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের তালিকাভুক্ত হয়েছেন বয়স বিবেচনায় সর্বকনিষ্ঠ এই আইনজীবী।
আইন অঙ্গনে সদালাপী, পরোপকারী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট রাজা মানুষ হিসেবে যেমন ভাল, তেমনি মেধাবী আইনজীবী। বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট।
তাঁর প্রয়াত পিতা এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার সারাজীবন সমগ্র আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আইন পেশার উন্নয়ন ও কল্যাণে তাঁর ভূমিকা সুবিদিত, সর্বজনস্বীকৃত।
৫৬ বছরের আইন পেশায় নিঃশর্ত সেবা দিয়ে গেছেন। স্নেহশীল, দয়ালু মানুষ আব্দুল বাসেত মজুমদারের নিকট আইনজীবীদের কৃতজ্ঞতার সীমা নাই। ব্যক্তিগতভাবেও অনেক আইনজীবীর তাঁর কাছে রয়েছে অনেক ঋণ।
বাসেত মজুমদারের প্রদর্শিত পথে সাঈদ আহমেদ রাজাও আইনজীবী এবং আইন পেশার কল্যাণে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। তিনি অসম্ভব বিনয়ী, ভদ্র, অমায়িক। রাজার দিকে তাকিয়ে আইনজীবীরা যেন খুঁজে পান প্রয়াত বাসেত মজুমদারের ছায়া।