মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : বিচারপতি নাঈমা হায়দার কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম ও সার্বিক অবকাঠামোগত সুবিধার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস কক্সবাজার জেলা অফিসের মতো পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক নয়। এজন্য তিনি কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সাজ্জাতুন নেছা লিপি সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের চেয়ারম্যান বিচারপতি নাঈমা হায়দার গত ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিস পরিদর্শন করে পরদিন ২১ মার্চ কক্সবাজার শহরের হোটেল ওশান প্যারাডাইসে “Co-ordination Meeting on Strengthening local level Legal Aid Committees” শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিস পরিদর্শন নিয়ে তাঁর এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিসে বারান্দায় বিরাট স্ক্রীনে লিগ্যাল এইড সম্পর্কিত বিভিন্ন ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হচ্ছে। টোল ফ্রি ১৬৪৩০ নম্বর কল সেন্টারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কল করার দৃশ্য বিরাট মনিটরে দেখানোর ফলে বিচারপ্রার্থী লোকজন উৎসাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিসের নিজস্ব হট লাইন নম্বর রয়েছে। যেখানে কল করে সহজেই কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিসের সাথে সংযুক্ত হওয়া যায়। হাসপাতাল সহ অন্যান্য পাবলিক স্পেসের মতো বিচারপ্রার্থী ও তাদের সঙ্গীদের বিশ্রাম ও অপেক্ষার জন্য কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিসে পর্যাপ্ত চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে।
পরিচ্ছন্ন মিডিয়েশন কক্ষ রয়েছে। যেখানে বিরোধীয় বিভিন্ন পক্ষকে পৃথক পৃথকভাবে কাউন্সিলিং করা যায়। বিরোধীয় বিষয় নিয়ে আপোষ মিমাংসা করা যায়। কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিসের অতি নিকটেই মাতৃদুগ্ধ পান করানোর আলাদা কক্ষ রয়েছে। সব মিলিয়ে কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিসকে বিচারপ্রার্থীবান্ধব অফিস হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিস পরিদর্শনকালে বিভিন্ন সুবিধাদি এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা দেখে অভিভূত হন এবং বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মাঝেও অফিসকে পরিপাটি রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে বিচারপ্রার্থীদের যথাযথ সেবা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিস পরিদর্শনে গেলে কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি এবং কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এবং কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সাজ্জাতুন নেছা লিপি তাঁকে উঞ্চ অর্ভ্যথনা জানান।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র পরিচালক ও জেলা জজ মোহাম্মদ আল মামুন, কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মোঃ নুরে আলম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ আবদুর রহিম, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৫ নিশাত সুলতানা, সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসার (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) ফারাহ মামুন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র উপ পরিচালক (অর্থ ও হিসাব, যুগ্ম জেলা জজ) মোঃ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ মাহমুদুল হাসান, কক্সবাজার লিগ্যাল এইড অফিসের প্রধান সহকারী মোহাম্মদ ইমতিয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।