মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : গত ২৩ এপ্রিল কক্সবাজারের নাজিরার টেকের সমুদ্রের মোহনায় ভেসে আাসা মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০টি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার নামীয় ১ নম্বর আসামী মহেশখালীর মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সাইরার ডেইল এলাকার কামাল প্রকাশ ওরফে বাইট্টা কামাল এবং ৪ নম্বর আসামী মহেশখালীর হোয়ানকের করিম সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাতে তাঁর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভেসে আসা ট্রলারের মালিক ও মহেশখালীর হোয়ানকের ছনখোলা পাড়ার নিহত শামশুল আলম প্রকাশ শামশু মাঝির স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন। যার কক্সবাজার সদর থানা মামলা নম্বর ৪৩, তারিখ : ২৫/০৪/২০২৩ ইংরেজি। মামলায় ৪ জনকে এজাহারভুক্ত এবং ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
এসপি মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, অর্ধগলিত লাশ গুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করে ৬টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকী ৪ টি লাশের মধ্যে প্রতিটি লাশের দাবিদার একাধিক হওয়ায় সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। সেই ৪ টি লাশ সহ ১০ টি লাশেরই নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকাস্থ ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এসপি মোঃ মাহফুজুল ইসলাম আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত ২ জন আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আরো নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার পুরো তথ্য উদঘাটনের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।
প্রেস ব্রিফিং এ তিনি আরো বলেন, লাশ উদ্ধারের পর পর পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, পিবিআই এর ডিআইজি, সিআইডি’র ডিআইজি, স্পেশাল ব্রাঞ্চের উর্ধতন কর্মকর্তারা কক্সবাজার এসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী কক্সবাজার জেলা পুলিশের ৫ টি চৌকস টিমকে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামানো হয়। গণমাধ্যমে আসা তথ্য পর্যালোচনা, টেকনোলজির ব্যবহার, টিমের অভিযান, সব কিছু মিলিয়ে ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
আদালত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করলে সহসায় ঘটনার বিস্তারিত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে এসপি মোঃ মাহফুজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান। গ্রেপ্তারকৃত ২ জন আসামী জেলে নন। তারা ২ জনই ট্রলারের মালিক।