বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড বাতিলে মালয়েশিয়ার সংসদে বিল পাস
মৃত্যুদণ্ড (প্রতীকী ছবি)

শয়তান ভেবে মাকে কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শয়তান ভেবে মা আমেনা বেগম ওরফে ভেলবা আক্তারকে (৬০) কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার দায়ে রেদওয়ান হোসেন মিলন (২৩) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

রেদওয়ান হোসেন মিলন জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ওহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছোট ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক পসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিলনের দেওয়া জবানবন্দি এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে পিপি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। আদালতে তাকে সুস্থই মনে হয়েছে।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির লোকজন আমেনার বসতঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখেন। এসময় বাইরে থেকে তার ছোট ছেলে মিলনকে ঘরের ভেতর দেখতে পান তারা। বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করলে মিলন দরজা খুলে দিলে তারা ভেতরে ডুকে আমেনার পোড়া মৃতদেহ দেখতে পান।

জেরার মুখে তিনি বাড়ির লোকজনের কাছে মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা মিলনকে আটক রেখে পুলিশে খবর দেন। রামগঞ্জ থানা পুলিশ পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং মিলনে আটক করে।

ওই দিন মিলনের মামা মো. টিপু সুলতান (৫১) বাদী হয়ে ভাগিনা মিলনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।

মিলন তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তিনি এতে জানান, ঘটনার ১০/১২ দিন আগে তিনি তার মায়ের সঙ্গে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মানিকপুর গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তার মা আমেনা চিকিৎসার জন্য তাকে দুই/তিনজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তার কাছে মনে হয়েছে- তার মা শয়তান। তাই মিলন তার মাকে ভোরের দিকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতদেহের ওপর কাপড়চোপড় রেখে আগুন ধরিয়ে দেন।