মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : তিন লক্ষ পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় ৬ রোহিঙ্গাকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, একইসাথে প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদয়ে আরো ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার (১৫ মে) এ রায় ঘোষণা করেন। একই কার্যালয়ের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
দন্ডিত আসামীরা হলেন- মিয়ানমারের আকিয়াবের সুলতান আহমদ এর পুত্র রহিম উল্লাহ, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার পকটু থানার আলী পাড়ার মিউরকুলের কাদির হোসেনের পুত্র এনামুল হোসেন, মতুল হোসেনের পুত্র নজির আহমদ, মৃত হাবিরুনের পুত্র মোঃ করিম, মৃত মোহাম্মদ এর পুত্র মোঃ রফিক ও মৃত রহিম উল্লাহ’র পুত্র মোঃ ফারুক। দন্ডিত সকল আসামী পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্র পক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ ও আসামীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০১৭ সালের ৩ আগস্ট রাত পৌনে ২ টার দিকে কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশী সমুদ্র সীমায় সেন্টমার্টিনের ছেরাদ্বীপের তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে প্রবেশ করা একটি বোট আটক করে। পরে বোট থেকে ৬ জন মিয়ানমারের নাগরিককে গ্রেপ্তার এবং বোট তল্লাশী করে ৩ লক্ষ পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের কর্মকর্তা এম. মশিউর রহমান বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ১৩/২০১৭ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৬৪৭/২০১৭ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর : ৩৫৩/২০১৮ ইংরেজি।
বিচার ও রায়
মামলাটি বিচারের জন্য ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, সাক্ষীদের আসামীদের পক্ষে জেরা, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
রায় ঘোষণার দিনে আসামীদের ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর টেবিল ৯(খ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন।