ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ : জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি
বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তারা অবসরকালীন সুবিধা পাবেন না

ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি প্রদানে অনুসরণীয় নীতিমালা সংক্রান্ত নতুন সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, অবসরের পর ব্যাংকের চুক্তিভিক্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রভিডেন্ট ও গ্রাচ্যুইটি সুবিধা পাবেন না। তবে ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে সোমবার (১৫ মে) এ সার্কুলার জারি করে তা ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবসর এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগসম্পর্কিত বিষয়ে অস্পষ্টতা দূর করার পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন। তবে ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তাদের অবসরকালীন বয়স হবে সর্বোচ্চ ৫৯ বছর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা, সুশাসন ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনতে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অধস্তন অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমার অসমতা দূর করতে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বয়সসীমা ৬৫ বছর নির্ধারণ করা হয়।

এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে তারা তাদের নিয়মিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়ন করবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবসর গ্রহণের বয়সসংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অবসরের সময় ৫৯ বছর।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে কিছু ব্যাংকের কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের নিয়মিত চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁদের মধ্য হতে কোনো কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের নিয়মিত চাকরিকালে জমাকৃত পূর্বতন প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর সুদ হিসাবায়ন অব্যাহত রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক সময়কেও নিয়মিত চাকরির সময়ের সঙ্গে যোগ করে সর্বমোট চাকরির মেয়াদ গণনা করে তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সর্বশেষ বেতনের অর্থকে ভিত্তি ধরে গ্র্যাচুইটি বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে, যা বিধি অনুযায়ী কোনোভাবেই প্রাপ্য নয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ব্যাংক খাতে অধিকতর শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংকে কর্মরত নিয়মিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের তাঁদের নিয়মিত চাকরির মেয়াদ শেষ করার পর ব্যাংকের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে এখন থেকে নতুন নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের নিয়মিত চাকরিকাল শেষ হওয়ার পর চূড়ান্ত অবসরের সময় বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।

এতে বলা হয়, চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের জন্য কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই এবং তাঁরা এমন সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নতুন করে কোনো গ্র্যাচুইটি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।