মাদারীপুরে এজলাসে বসে আইনজীবীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার অপরাধে আদালতের হাজতখানায় পাঁচ ঘণ্টা আটক রাখার পর মামলার এক বাদীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাজিদ উল হাসান চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এ জরিমানার আদেশ দেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা মুহিত তাঁর সাবেক স্ত্রীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। এই মামলায় আসামিরা হাজির হয়ে আদালতের শুনানিতে অংশ নেন।
আদালত চলাকালীন আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আনিচুর রহমান আদালতের অনুমতি নিয়ে এই মামলার বাদী মুহিতকে এজলাসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জেরার একপর্যায়ে মুহিত আইনজীবীর মা-বাবা তুলে গালাগাল দেন ও আদালতকে অসম্মান করেন।
পরে আদালতের বিচারক তাৎক্ষণিক মুহিতকে আদালত পুলিশের সেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আদালত পুলিশের সেলে থাকার পর বাদীর আইনজীবী তাঁর মক্কেলের ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা জানালে আদালত মুহিতকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
আইনজীবী মো. আনিচুর রহমান বলেন, ‘বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তিনি খেপে যান। এমনকি তিনি আমার পিতা-মাতাকে নিয়ে অবাঞ্ছিত ভাষার ব্যবহার করেন। বিষয়টি আদালতের চোখে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে আদালতের হাজতখানায় পাঠানো হয়। তিনি (মুহিত) শুধু আমাকেই নয়, আদালতকেও অবমাননা করেছেন।’
জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবী যখন আমাকে প্রশ্ন করছিল তখন আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি ভুল করেছি। এমন ভুল আর কখনো হবে না।’
এ সম্পর্কে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহজাহান বলেন, ‘আদালত ও আইনজীবীকে নিয়ে অসম্মানজনক কথা বলায় একটি মামলার বাদী মুহিতকে পাঁচ ঘণ্টা আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে তিনি ও তাঁর আইনজীবী আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা জানালে আদালত তাঁর অপরাধের দায়ে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’