লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার তথা ন্যায়কুঞ্জ এর নির্মাণকাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বিশ্রামাগারটি বাস্তবায়ন করছে লক্ষীপুর গণপূর্ত অধিদপ্তর।
আজ শনিবার (১০ জুন) সকাল ১১টায় আদালত প্রাঙ্গনে এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রহিবুল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক (জেলা জজ) মোঃ সাদেকুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুমিনুল হাসান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আকন্দ, পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বেগম লাবণ্য বড়ুয়া, লক্ষীপুর জেলা বারের সভাপতি আহম্মদ ফেরদৌস মানিক, সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মাহমুদ, অন্যান্য বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী, আদালতের কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী ন্যায়কুঞ্জ এর নির্মাণকাজ উদ্বোধনে তারঁ বক্তব্যে বলেন, দেশের সকল জেলা জজ আদালতগুলোতে মাননীয় প্রধান বিচারপতির আগ্রহ এবং নির্দেশনায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এই ন্যায়কুঞ্জতে দূর দুরান্ত হতে সাক্ষীরাসহ মামলার বিচারপ্রার্থী জনগণ এসে অপেক্ষা করতে পারবে। এই ন্যায়কুঞ্জে দুগ্ধপোষ্য শিশুদের মায়েদের জন্য ব্রেস্টফিডিং রুমের আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া এখানে বিচারপ্রার্থী জনগনের জন্য শৌচাগারসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি যে উদ্দেশ্য ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন সে উদ্দেশ্য যেন ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরে সিজেএম আদালতের কনফারেন্স রুমে মাননীয় বিচারপতির উপস্থিতিতে এবং জেলা জজের সভাপতিত্বে অর্ধ-বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। বিচারপতি উক্ত সভায় তাঁর বক্তব্যে লক্ষ্মীপুর আদালতের পুরনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির দিক নির্দেশনা দেন। তিনি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে স্বাক্ষীদের যথা সময়ে আদালতে হাজির করার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিচারকদের প্রতি বিশেষভাবে নির্দেশ প্রদান করেন।
এছাড়া, তিনি আদালতের অবকাঠামো সমস্যা, জেনারেটর জ্বালানীসহ নানাবিধ সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন দপ্তরের অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।