শ্রীকান্ত দেবনাথ : গোয়াল ঘর স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে ফেনীতে এক আইনজীবীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর আমলী আদালতে গত ৭ জুন এ মামলা দায়ের করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করার জন্য ফেনী সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী আইনজীবীর নাম শাহজালাল ভূঞা সবুজ। তিনি ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নিয়মিত সদস্য।
মামলার আসামিরা হলেন- আতাউর জামান (আলমগীর), সাহাব উদ্দিন, ছেমনা আক্তার ও মোতাহের হোসেন (হোনা মিয়া)।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী ও আসামিরা একই বাড়ির লোক এবং পরস্পরের আত্মীয়। জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বাদী ও আসামিদের মধ্যে দীর্ঘদীন যাবত বিরোধ রয়েছে।
এছাড়া মামলার প্রথম ৩ জন আসামী প্রায় ৮ বছর আগে বাদীর বাড়ির সামনে একটি গরুঘর নির্মাণ করে আবর্জনা ও দুর্গন্ধ দ্বারা পরিবেশ নষ্ট করে বাদী ও তাঁর পরিবারের স্বাভাবিক জীবন যাপনে প্রভাব ফেলে চরমভাবে মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
ওই গরু ঘর বাদীর বাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও আসামিরা তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো বাদীকে নানা রকম হুমকি-ধামকিসহ গরু ঘর স্থানান্তরের জন্য চাঁদা দাবি করেন।
গত ৩০ এপ্রিল ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে আতাউর জামানসহ (আলমগীর) ৪ জন আসামী পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে বাদীর কাছে নিকট চাঁদা দাবি করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী আইনজীবীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, মামালার ১নং আসামীর নামে ইতোপূর্বে দুটি জি.আর. মামলা রয়েছে। ১নং আসামী একজন পেশাদার অপরাধী বলেও তিনি অভিযোগ করেন। আসামীগণের সাথে বাদীর দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে।
আসামীগণের নিপীড়নের মাত্র অতিক্রম করায় ও আসামীগণ সর্বশেষ ৩০/০৪/২০২৩ তারিখ ঘটনার সৃষ্টি করায় একান্ত বাধ্য হয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য এই মামলা করেছেন বলে ভুক্তভোগী আইনজীবী জানান। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে আসামী পক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় আসামীদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।