ডিএমপি’র সাবেক কমিশনারসহ ১৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশ (প্রতীকী ছবি)

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, তদন্তের নির্দেশ দিলেন আদালত

চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ রোববার (২৩ জুলাই) সকালে আজাদ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দিবেন বলে জানান। এরপর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৮ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন- বাদী আজাদের সাবেক প্রেমিকা আয়শা রুবি এবং তার স্বামী জসিম উদ্দিন রায়াত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এম কাওসার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আজাদের সঙ্গে রুবির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে রুবি রায়াতকে বিয়ে করলে সম্পর্ক শেষ হয়। তবে তাদের ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি রুবির কাছে ছিল। রুবি ও রায়াত এগুলো দিয়ে আজাদকে হুমকি ধামকি দিতো। পরে আজাদ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তারা আজাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ ও জিডি করে। পরে আপোষের মাধ্যমে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, গত ১০ জুলাই রুবির শাশুড়ি স্ট্রোক করেছে বলে আজাদকে জানায়। তারা আজাদের সাহায্য চায়। আজাদ রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রায়াতের সঙ্গে মগবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। সেখানে গেলে এসআই জাহিদ তাকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যান। পরে আজাদের আত্মীয়দের ফোন করে টাকা পয়সা নিয়ে আসতে বলেন জাহিদ।

রুবি ও রায়াতের ফোন থেকে এসআই জাহিদ একাধিক বার ফোন করে চাঁদা দাবি করেন। তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করবে মর্মে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। অন্যথায় তাকে ও ওসিকে (হাতিরঝিল) মিষ্টি খেতে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলেন।

পরে আজাদের এক আত্মীয় থানায় যান। তাকে এক লাখ টাকা দিতে বাধ্য করেন জাহিদ। ওই টাকার মধ্যে আজাদের মানিব্যাগে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেন এসআই জাহিদ। বাকী ৮০ হাজার টাকা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে তুলে আনতে বাধ্য করেন। এখন এই তিন আসামি তাকে দুই লাখ টাকা দিতে চাপ দিচ্ছেন। অন্যথায় তাকে মামলা দেওয়ার ভয়ভীতি দিচ্ছেন।