এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই নামে জৈব কীটনাশক আমদানিতে জালিয়াতির ঘটনায় মামলা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির সহকারী ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা রাহাত আল ফয়সাল বাদী হয়ে সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে এ মামলা করেন।
ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী আমদানি না করায় মার্শাল অ্যাগ্রোভ্যাট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলাউদ্দিন ও নির্বাহী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং চীনা নাগরিক লি কিউইয়াং।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ মে মার্শাল অ্যাগ্রোকে বিটিআই আমদানির কার্যাদেশ দেওয়া হয় এবং ২১ মে এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। ১ আগস্ট মার্শাল অ্যাগ্রো ডিএনসিসিকে বিটিআই কীটনাশক হস্তান্তর করে।
এসব কীটনাশকের মোড়কের তথ্য অনুযায়ী, সেগুলো সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল থেকে আনা হয়েছে। পরে বেস্ট কেমিক্যাল তাদের ফেসবুক পেজে সতর্ক বার্তায় জানায়, তারা মার্শাল অ্যাগ্রো নামে কোনো প্রতিষ্ঠানকে বিটিআই কীটনাশক সরবরাহ করেনি।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি ও প্রতারণা করে কীটনাশক সরবরাহের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের জন্য এ কাজ করেছে।
গত ৭ আগস্ট ঢাকার গুলশানে বিটিআই প্রয়োগের কাজ উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তখন ডিএনসিসি থেকে জানানো হয়, সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল কোম্পানি থেকে ৫ টন বিটিআই আনা হয়েছে। প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৩ হাজার ৩৮৫ টাকা। সে হিসাবে ৫ টনের দাম পড়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি কীটনাশকটি সরবরাহ করেছে। তারা দাবি করেছে, সিঙ্গাপুরের কোম্পানি ‘বেস্ট কেমিক্যাল’ এর উৎপাদক। তবে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখে বেস্ট কেমিক্যাল তাদের ফেসবুক পেজে বলেছে, তারা এটি সরবরাহ করেনি। এমনকি তাদের নাম ব্যবহার করে যারা ‘বিটিআই’ সরবরাহ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।