নওগাঁ জেলার পোরশা থানার ইলাম গ্রামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পলাতক আসামীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন আদালত।
আসামীর অনুপস্থিতিতে আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌঁসুলি মোঃ মকবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন। আর আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস.এম সারোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের মামলায় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি উক্ত এলাকার মাদ্রাসা ছাত্রী আসমা খাতুন (ছদ্মনাম) নানীর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে কাশিতাড়া এলাকার জনৈক হারুন শাহের আমবাগানে নিয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন উক্ত ছাত্রীর নানাকে খবর দিলে তিনি এসে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
পোরশা থানায় ছাত্রীর নানা অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পোরশা থানার গোবরাকুড়ি এলাকার মোঃ ওসমানের পুত্র হ্যাপির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁ আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদককে হাইকোর্টে তলব
আদালতে চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত এগারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ যুক্তিতর্ক শ্রবনের জন্য ধার্য্য থাকলে আসামী পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁর আইনজীবী।
উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জনাকীর্ণ আদালতে আজ সকালে পলাতক আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামী পলাতক থাকার সাজা পরোয়ানাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন আদালতের বিচারক। জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার নারীকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।