বিচারিক আদালতে হওয়া মামলার রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ মর্যাদার অন্যান্য আদালতে আপিলের বিধান রেখে ‘পারিবারিক আদালত বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর স্পিকার সংশোধনী প্রস্তাব নিষ্পত্তি করেন।
পাস হওয়া বিলে পারিবারিক আদালত আইনের অধীনে বিচারিক আদালতে হওয়া মামলার রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ মর্যাদার অন্যান্য আদালতে আপিল করার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে বিচারিক আদালতে হওয়া এ সংক্রান্ত মামলার আপিল শুধু জেলা জজের আদালতে করার সুযোগ ছিল। এতে জেলা জজের ওপর মামলা শুনানির চাপ বাড়ছিল। মামলার চাপ কমাতে আইনে এ সংশোধনী আনা হয়।
সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, জেলাপর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। সরকার গেজেট জারি করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা থাকলে, জেলা জজ পর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা আছেন, তাদেরও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
এছাড়া বিলে দাম্পত্য কলহ, তালাক, বিয়ে এবং শিশুদের ভরণপোষণের বিষয়গুলো আছে। সেখানে পারিবারিক আদালতের মামলার কোর্ট ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত ৭ জুন সংসদে ‘পারিবারিক আদালত বিল-২০২৩’ সংসদে উত্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
গত বছরের ৩ জুলাই বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় ফ্যামিলি কোর্টস অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়।