ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থে সংবিধানের ব্যবহার কখনো শুভ হতে পারে না : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ (ফাইল ছবি)

গ্যালারি থেকে অধিবেশন দেখলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

গ্যালারি থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সংসদ অধিবেশন পর্যবেক্ষণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিষয়টি সংসদে জানালে পুরো সংসদ ভবন করতালিতে ফেটে পড়ে।

এসময় আব্দুল হামিদ দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে সংসদ সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান।

পরে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আজ যে ঘটনা প্রত্যক্ষ করলাম সেটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। নীরবে, নিভৃতে অভূতপূর্ব ঘটনা। দেশে একজন স্পিকার ছিলেন, ডেপুটি স্পিকার ছিলেন, দুবার রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কোনো রাষ্ট্রপতি অবসরের পরে সংসদে এসে অধিবেশন প্রত্যক্ষ করেছেন, এটাই মনে হয় প্রথম। তার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি, অনেক কিছু জেনেছি। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক গগনে অত্যন্ত সফল। তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

এর আগে মাগরিবের নামাজের বিরতিতে তিনি সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন দায়িত্ব পালনের পর সম্প্রতি মো. আবদুল হামিদ অবসরে যান। একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং সংসদ সদস্য মো. আবদুল হামিদ পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেছিলেন।

জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন আবদুল হামিদ। এরপর ওই বছরের ২২ এপ্রিল তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৯ সালের শেষ দিকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

মো. আবদুল হামিদ ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নবম জাতীয় সংসদে স্পিকার নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।