ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘বিবৃতিতে’ সই করবেন না ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘বিবৃতিতে’ সই করবেন না ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে সই করবেন না বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া। এসময় তিনি বলেছেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার স্থগিতে ১৭৬ বিশ্বনেতার বিবৃতির সঙ্গে আমি একমত। আমি মনে করি তার সম্মানহানি এবং বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে।

আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা জানান।

এমরান আহমেদ বলেন, ‘অধ্যাপক ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই বিবৃতি দিয়েছেন যে—ওনাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সেটার বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে।’

‘নোটিশ দেওয়া হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিবৃতিতে আমি স্বাক্ষর করব না,’ বলেন তিনি।

কারণ জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরায়েলের যে আইন সংস্কার হচ্ছে; বিচার সম্পর্কিত, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, এটা আমার নিজস্ব চিন্তা। সে রকমই।’

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘যে বিবৃতি দিয়েছেন ১৬০ জন নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, আমি ওনাদের বিবৃতির সঙ্গে একমত।’

‘আমি মনে করি, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি,’ বলেন তিনি।

এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিচার স্থগিত ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৭৬ বিশ্বনেতা খোলাচিঠি লিখেছেন। পরবর্তীতে এতে আরও কয়েকজন স্বাক্ষর করায় করায় এ সংখ্যা বেড়ে ১৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের মতো বিশ্বনেতারা।