ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা অর্থ পাচারের মামলা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তার কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আল মামুন।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে এ নোবেলজয়ীকে ২০ মিনিটের মতো সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেন আইনজীবী।
উপস্থিত সাংবাদিকদের আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দুদকে উনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ হচ্ছে, গ্রামীণ টেলিকমের ১০৬ জন কর্মচারী লেবার কোর্টে মামলা করেছিল কেন তাদের নিট মুনাফার ৫ শতাংশ দেয়া হবে না, এ নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নেও মামলা হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে করা।’
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার পর দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন ড. ইউনূস। সংস্থাটির একটি দল ১০টা ৩৭ থেকে ১০টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সকালে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুদকের নোটিস পেয়ে গত ১ অক্টোবর ড. ইউনূস দেশে চলে আসেন। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইন মেনে চলবেন।
এর আগে অর্থ পাচারের মামলায় চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ ১৩ আসামিকে তলব করে দুদক। মামলার তদন্ত কাজের অংশ হিসেবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে এ নোটিস দেয়া হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১৩ আসামির প্রত্যেককেই তাদের নিজ ঠিকানায় পৃথক পৃথক নোটিশ পাঠান উপপরিচালক গুলশান। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের ৩ পরিচালককে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।