সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার (৮ অক্টোবর) নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও কোর্টের অন্য বিচারপতিরা আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আইনজীবীদের সঙ্গে এটিই হবে প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ।
গত সপ্তাহে এ বিষয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী। বিজ্ঞপ্তির কপি সংশ্লিষ্টদের দফতরে পাঠানো হয়েছে।
জারি করা বিজ্ঞপ্তির ভাষ্যমতে, রোববার বিকেল সোয়া ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মূল ভবনের ভেতরের লনে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ও অন্য বিচারপতিরা অ্যাটর্নি জেনারেল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক এবং অন্যান্য আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন।
ওই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল।
প্রথা অনুযায়ী, অবকাশ শেষে প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তাদের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার কথা।
এদিকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তার মেয়াদ ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ১২ সেপ্টেম্বর জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ০১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছায়াশী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়। তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হন।
প্রসঙ্গত, গত পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ কোর্টের অবকাশে আজ ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় (হাইকোর্ট ও আপিল) বিভাগের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তবে এই সময় মামলা সংক্রান্ত অতীব জরুরি বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে হাইকোর্টে অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করে দেওয়া হয়। অবকাশে আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়ে বিচারকাজ পরিচালনায় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমকে চেম্বার জজ মনোনীত করা হয়।