ফেনীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে পিপলু মজুমদার নামে এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার স্বর্ণলতা ভবন থেকে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পিপলু ফেনী পৌরসভার মাস্টার পাড়ার মৃত অমর বিন্দু মজুমদারের ছেলে। তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। এছাড়া তিনি ফেনী কোর্টের আইনজীবী ও ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। তার দুটি ছেলে রয়েছে। সম্প্রতি ওই নারীর সঙ্গে পিপলুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসময় তিনি নিজেকে মুসলিম পরিচয় দেন এছাড়াও ব্যাংকে চাকরি করেন বলে জানায়।
গত ৩ অক্টোবর ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে এনে ফেনী শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিরিঞ্চি আতিকুল আলম সড়কের কাজী মঞ্জিলে উঠেন। সেখানে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে পিপলু হিন্দু জানতে পারেন ওই নারী। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে ফেনী মডেল থানা পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ধর্ষণের মামলায় সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার বিকেলে মামলার পর পিপলুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী জানান, পরিচয়ের শুরুর দিকে প্রতারক পিপলু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। অথচ তিনদিন বাসায় রাখার পর বিয়ে না করে তালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে তাকে কেউ গ্রহণ করবে না, তার সঙ্গে থাকতে হবে বলে ভয়-ভীতি দেখায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার ফেনী মডেল থানায় ধর্ষণ মামলার পর পিপলুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার মামলার বাদী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ফেনী আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আবুল বশর চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, রোববার আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে গেলেই বিস্তারিত জানা ও বলা যাবে।