রাজধানীর ট্রাফিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারতের হায়দারাবাদ প্রদেশের এক প্রশিক্ষণে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পাঁচ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এবং জাইকার রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের আওতায় ট্রাফিক বিভাগের পাঁচ সদস্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা হলেন, ডিএমপি’র ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম, এডিসি মো. মিজানুর রহমান, ট্রাফিক এয়ারপোর্ট জোনের সহকারী কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন সেন্টু, ট্রাফিক লালবাগ বিভাগের সহকারী কমিশনার জয়িতা দাস ও পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) ইসমাইল হোসেন।
অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমান আরও বলেন, ‘ট্রাফিক সিস্টেম অ্যান্ড সোলেয়েশন ইন হায়দ্রাবাদ, ইন্ডিয়া’ শীর্ষক প্রশিক্ষণে পাঁচ কর্মকর্তা ভারতের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উপর বাস্তবমুখী কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসহ বেশ কিছু সিস্টেম জেনেছেন।
গত মঙ্গলবার প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজধানীর যানজট নিরসনের বিষয়টি তুলে ধরেন তারা। সভা শেষে ডিএমপি কমিশনারকে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রোজেক্ট এর আওতায় হায়দ্রাবাদ, ভারত হতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষনার্থীরা শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন।
এসময় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দলটির সাথে উপস্থিত ছিলেন, জাইকা এক্সপার্ট টিমের ৩ জন সদস্য, প্রজেক্ট লিডার ইয়োসিহিসা আসাদা, (ট্রেইনিং অ্যান্ড পাইলট প্রোজেক্ট), টাটসুয়া আকিগুচি ও (এসিস্ট্যান্ট সিস্টেম মনিটরিং) নাটসুকি নাগাসাকা।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যান্ড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইউজিং আইটিএস সেন্সিং টেকনোলজি’ ও ‘কালেকশন অ্যান্ড এনালাইসিস অব ট্রাফিক এক্সিডেন্ট ডাটা অ্যান্ড ইউজ অব এনালাইসিস রেজাল্টস’।
এসব বিষয়ের উপর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একজন এসোশিয়েট প্রফেসরের লেকচার এবং হায়দারাবাদ ট্রাফিক পুলিশের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
এছাড়া এই কর্মসূচিতে আরও অন্তর্ভুক্ত ছিল একটি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র, হোন্ডা ইন্ডিয়া কর্তৃক পরিচালিত একটি ট্রাফিক পার্ক এবং একটি ট্রাফিক সিগনাল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন।
সভায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের কাছে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ও প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান উপস্থাপনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার বিষয়ে হায়দ্রাবাদ ট্রাফিক পুলিশের অভিজ্ঞতা কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনে এডেপটিভ ট্রাফিক কন্ট্রল সিস্টেম গেজ ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম সংযোজনের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সকল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সুসমন্বয় ও সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষনমূলক বিষয় তুলে ধরা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে হায়দ্রাবাদে প্রশিক্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।