জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে প্রি ও পোস্ট-কেইস মামলা/বিরোধে ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষকে ১৫৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ৯৪৮ টাকা আদায় করে দেয়া হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার মাধ্যমে সরকারি খরচায় ২০০৯ সাল থেকে আগষ্ট-২০২৩ পর্যন্ত ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৭৩০ জনকে আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনি সহায়তা প্রদানকৃত মামলার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২২৫টি। এরমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫টি মামলা। এর মধ্যে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে নিস্পত্তিকৃত মামলা/বিরোধে সুফলভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬১৪ জন। এডিআর এর জন্য উদ্যোগ নেয়া হয় ১ লাখ ৬ হাজার ৬০টি মামলায়। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয় ৯৪ হাজার ৭২৪টি মামলা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সংস্থাটি দেশব্যাপী আইনি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে আগষ্ট-২০২৩ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭২ হাজার ২৭০ জনকে আইনি পরামর্শ সেবা প্রদান করেছে।
গত ২৮ এপ্রিল দেশব্যাপী আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় : “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন”। দিবসটিতে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস- ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। ২০১৬ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগনকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করে। ২০০০ সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামীলীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। দেশের সকল আদালত, সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে ’লিগ্যাল এইড’ এখন দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের নিকট ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।