ভারতের ভূপালে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমী এবং স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমীতে প্রশিক্ষণের জন্য যেতে অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।
প্রশিক্ষণের জন্য সিনিয়র সহকারী জজ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এসব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা আগামী ৬ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ এর উপসচিব (প্রশিক্ষণ) মো: শামসুদ্দীন মাসুম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার (২২ অক্টোবর) এ তথ্য জানা গেছে।
অনুমতিপ্রাপ্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমীর আগামী ৬ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমী, ভূপাল এবং একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমীতে প্রশিক্ষণ হবে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো।
প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ওই সমঝোতা স্মারকের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫ থেকে ১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নেন।