‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ৩, ৫, ৬ ও ৮ ধারা ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’ এর তফসিলে যুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করায় এখন থেকে খাদ্যদ্রব্য আইনের ৪টি ধারায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া যাবে।
ফলে এখন থেকে বস্তার গায়ে ধানের জাতের নাম না লিখলে এবং লাইসেন্স ছাড়া খাদ্যশস্যের ব্যবসা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া যাবে।
এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য পলিশিং করে বিক্রি এবং খাদ্যদ্রব্যের গুণগত পরিবর্তন করে সরকারি গুদামে সরবরাহ করলেও তার শাস্তি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
ওই আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই জাতের উপজাত পণ্য হিসেবে উল্লেখ না করলে, খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মেশালে এবং খাদ্যশস্য ব্যবসার লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে ২ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
ধারা-৫ অনুযায়ী, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য পলিশিং করলে এবং খাদ্যদ্রব্যের গুণগত পরিবর্তন করে সরকারি গুদামে সরবরাহ করলে ২ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
ধারা-৬ এ বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তরের দেওয়া বিতরণকৃত সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, ক্রয়-বিক্রয় করলে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
আর ধারা-৮ এ বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন শ্রমিক, কর্মচারী, ঠিকাদার, মিল মালিক, ডিলার বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন বা এ সংক্রান্ত কোনো কাজে নিজে বিরত থাকলে বা সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে তার কর্তব্য পালনে বিরত থাকতে বাধ্য বা প্ররোচিত করলে বা তাদের মধ্যে অসন্তোষ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
এই চারটি ধারায় অপরাধের বিচার এখন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা যাবে।