নির্বাচন ব্যবস্থা ও সরকার গঠন নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এর ব্যত্যয় হলে দেশ আবারও পিছিয়ে পড়বে।
জাতীয় সংবিধান দিবস উদযাপনে শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসনে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “বিগত অর্ধশত বছরের অভিজ্ঞতা বলে, যখনই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত সাংবিধানিক শাসন থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। দেশে অরাজক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং মৌলিক মানবাধিকার ভুলণ্ঠিত হয়েছে। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে।
“তাই অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আগামীতে যা কিছু হবে, সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে আবারও জাতি পিছিয়ে পড়বে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়ে বিএনপি ও সমমনাদের আন্দোলনের বিষয়টি সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে এই দাবি নাকচ করেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, “সংসদ কীভাবে গঠিত হবে, সরকার কীভাবে গঠিত হবে, নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তার সব বিধান সংবিধানে সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।”
বঙ্গবন্ধু তার দেওয়া সংবিধানে জনগণকে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক বানিয়েছেন উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, “সংবিধানের ২৬-৪৭ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। সেখানে সব নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
“স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল নিয়মতান্ত্রিক এবং আইনের আওতায়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার পরের দিনই তিনি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেছিলেন এবং এই সংবিধানের আওতায় তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছিলেন।”
সেমিনারে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।