উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় নিযুক্ত আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌসের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে বরখাস্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং থেকে তার নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট তামান্না ফেরদৌসের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ২০১৯ সালের ৭ জুলাইয়ে নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে তাকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের উদ্যোগে আইনজীবী মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সভা শেষে রাষ্ট্রপক্ষের দুই আইন কর্মকর্তার মধ্যে হাতাহাতি হয়। গত ৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সভা শেষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মজিবুর রহমান মজিব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌসের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ঘটনার পর ব্যবস্থা নিতে মজিবুর রহমান অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবার লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত আবেদনে মজিবুর উল্লেখ করেন, ‘দুপুরে বারের সম্পাদকের কক্ষের সামনে অবস্থানকালে পূর্ব শত্রুতার জেরে হঠাৎ করেই সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস আমাকে গালিগালাজ করেন। আমি প্রতিবাদ করলে আমার দুই গালে চড় মারেন তিনি। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাকে বহিরাগত লোকজন দিয়ে খুন করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমার আমার মান, সম্মান ও ইজ্জতহানী ঘটে।’
বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে সুবিচার দাবি করা হয় আবেদনে।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনার জের ধরেই তামান্না ফেরদৌসের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।