নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামী পক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগে ভিকটিমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার বদলগাছী উপজেলার চাপাডাল গ্রামের আসাদুল হাকিমের স্ত্রী মাবিয়া বেগম (৪৮) একই গ্রামের তহিদুল তুহিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর তুহিনের বাড়ির পূর্ব উত্তর কোনায় পাকা রাস্তার শুকনা ড্রেনের ভিতর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ কর্তৃক তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না থাকায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। ভিকটিম পুলিশ রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজী দরখাস্ত দাখিল করলে শুনানী অন্তে মঞ্জুর পূর্বক ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। ঘটনাটির সত্যতা রয়েছে মর্মে অনুসন্ধান পূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পরবর্তীতে আদালত তিন জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে চলতি বছরের ১০ আগস্ট আসামীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা আনয়ন করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ দিয়ে সকল আসামীকে খালাস প্রদান করেন। আসামীরা শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে দাবী করে চলতি বছরের ১ আগস্ট ধর্ষিণের চেষ্টা দাবী করা নারী মাবিয়া বেগমসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় অভিযোগ আনয়ন করেন।
আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা উক্ত নারীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। আজ মাবিয়া বেগম আদালতে জামিন শুনানীর প্রার্থনা করলে আদালত উভয় পক্ষের শুনানী অন্তে জামিনের দরখাস্ত না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মাবিয়া বেগমের পক্ষে জামিন শুনানী করেন অ্যাডভোকেট মামলা পরিচালনা করেন শুভ্র সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন বিশেষ পি.পি অ্যাডভোকেট মোঃ মকবুল হোসেন।