উপ-পুলিশ কমিশনার, ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ, মোস্তাক আহমেদ স্যারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও মো: জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নাশকতা ও অগ্নি-সন্ত্রাস প্রতিরোধে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের সকল সদস্যদের বিশেষ করে টিআই, সার্জেন্টসহ নিয়মিত ডিউটিতে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করা হয় সবসময়। নাশকতা প্রতিরোধে বিশেষ করে টিআই ও সার্জেন্টগণ প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলম্বন করে নাশকতাকারীদের হাতে-নাতে ধরতে সক্ষম হচ্ছে এবং জনসেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
নিত্যদিনের ন্যায় ট্রাফিক মোহাম্মদপুর জোনের সার্জেন্ট পলাশ কুমার রায় আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) প্রথম পালার ডিউটি শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় আনুমানিক দুপুর সোয়া ২টার সময় আসাদগেট সংলগ্ন সেন্ট যোসেফ স্কুলের সামনে পলায়নরত একজন নাশকতাকারীকে দৌঁড় দিয়ে আটক করেন।
নাশকতাকারী একটি প্রজাপতি বাসে আগুন লাগিয়ে পলায়নের চেষ্টা করছিল। প্রজাপতি পরিবহন গাড়ি নম্বর : ঢাকা মেট্রো ব ১১-৯০৫০। নাশকতাকারীকে আটক করার পর অপরাধীকে টিএসআই আতাবুলের সহযোগিতায় তাকে নিজ মোটরসাইকেল করে বক্সে নিয়ে আসেন সার্জেন্ট পলাশ।
পরবর্তীতে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পুলিশ কমিশনার, ট্রাফিক মোহাম্মদপুর জোন জনাব ইমরুলের উপস্থিতিতে নাশকতাকারীকে বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদে ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তাহার নাশকতার যথেষ্ট প্রমাণ পান এবং এই নাশকতাকারী ও অগ্নি-সন্ত্রাসের সাথে কারা জড়িত তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ডেল্টা থ্রির মাধ্যমে জিডি করে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নাশকতাকারীর নাম মো: মামুন, পিতা : ধলু মোল্লা, ঠিকানা: রায়ের বাজার, ধানমন্ডি, ঢাকা। সার্জেন্ট পলাশ ডেলটা থ্রিতে নাশকতাকারীকে আটকের বিষয়ে জিডি নং- ৭৮৫ নামে একটি নোট দেন।