নিজেদের মধ্যে অনৈক্য দলাদলি আর রেশারেশির কারণে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে। তবে দু’দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সভাপতি-সম্পাদকের দু’টি পদে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভোট গ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও দুই রাজনৈতিক দলের ‘বিদ্রোহীদের’ সমন্বয়ে অপর একটিসহ মোট তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তিনটি প্যানেল থেকেই কমবেশি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ১৩টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্যানেল ৩টি, বিএনপি–সমর্থিত প্যানেল ৬টি, বিদ্রোহী প্যানেল থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪টি পদের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে সভাপতি পদে আবু মোর্তজা ও সাধারণ সম্পাদক পদে শাহিনুর আলমের কাছে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ইদ্রিস আলী ও একই প্যানের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খালেদ হাসান বিপুল ভোটে পরাজিত হন।
এ ছাড়া বিএনপি–সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী গোলাম মোস্তফা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারেননি। তিনি পেয়েছেন মাত্র ২১ ভোট। বিএনপি প্যানেল সভাপতি পদে কাউকে প্রার্থী করেনি।
এ ছাড়া নির্বাচনে অন্যান্য পদের মধ্যে তিনটি প্যানেল থেকেই সহসভাপতি মঞ্জুর কাদির আশিক ও গাজী মুহা. মাহাফুজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক জুলফিকার আলী, সহকারী সম্পাদকের দুই পদে আফরোজা সুলতানা ও তাহমিদ আকাশ, গ্রন্থাগার সম্পাদক মুস্তাকিন মোস্তফা খান, কার্যকারী সদস্যের পাঁচটি পদে সেলিম রেজা, শাহানাজ সুলতানা, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকি, জান্নাতুল ফেরদৌস ও মাহমুদ কবীর জয়ী হয়েছেন।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর ভবন মিলনায়তনে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৫৩৪ জন ভোটারের মধ্যে ৮টি বুথে ৫২৭ জন ভোট দেন।
ভোট গ্রহণ শেষে গণনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ইসমত হাসান।