আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীর জন্মদিন আজ।
গাজীপুরের সন্তান এই গুণী আইনজীবী ১৯৬২ সালের আজকের দিনে (৪ ফেব্রুয়ারি) জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে প্র্যাকটিস করছেন তিনি।
১৯৮৫ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন এই আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে গুলিবিদ্ধ হন। মারা গেছে ভেবে প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জীবিত আছে বুঝতে পেরে তাকে ইমারজেন্সিতে আনা হয়। চিকিৎসকরা ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখে পুলিশ। দীর্ঘদিন পর মুক্তি পান।
মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ছাত্র রাজনীতি ছাড়ার পর পেশাজীবী হিসেবেও দলের পক্ষে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। অসংখ্যবার রাজনৈতিক কারণে আহত, গ্রেপ্তার ও ডিটেনশনে কারা নির্যাতিত হয়েছেন। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাজপথের প্রতিটি মিছিলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
মোমতাজ উদ্দিন ২০০১ সালে ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক ও ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০২ সালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের এডিসি কোহিনূরের নির্যাতনের প্রতিবাদে নিজে বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন। ২০০২ সালের ১০ ডিসেম্বর তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে মতিঝিল থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। একই সঙ্গে মিথ্যামামলায় ডিটেনশন দিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনে বোমা হামলার মামলাদেওয়া।
‘১/১১-এর কঠিন সময়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনা গ্রেফতারের দিন থেকে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তিলাভের মুহূর্ত পর্যন্ত মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী সক্রিয়ভাবে রাজপথে ও আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। আইন পেশাজীবীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য বিবৃতি প্রদান করেন।
বিশেষ আদালতে প্রতিদিন উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এম এ আজিজকে অপসারণের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা পরিচালনার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন।