পৃথক ৯টি মামলার মধ্যে ৬ মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন।
আজ মির্জা আব্বাসের জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি আদালতে বলেন, ‘মির্জা আব্বাস অসুস্থ। পল্টন ও রমনা থানার ১১টি মামলার মধ্যে ১০ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জামিন পেয়েছেন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে মির্জা আব্বাসকে জামিন দেওয়া হোক।’
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত বৃহস্পতিবার পল্টন থানার পাঁচ মামলা ও রমনা থানার চার মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, জামিন আবেদনের বিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে পল্টন থানার চার মামলা ও রমনা থানার দুই মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
আইনজীবীর দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আজ ৯ মামলার শুনানি হয়েছে, ৬টি মামলায় জামিন পেলেন তিনি।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে করা মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি দেন হাইকোর্ট।
রাজধানীর রমনা, পল্টন মডেল থানায় ও ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে করা পৃথক ১০ মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৫ জানুয়ারি পৃথক রিট করেন তাঁরা।