এস আলম গ্রুপের অর্থপাচার অনুসন্ধানে হাইকোর্টের রুল খারিজ

এস আলম গ্রুপের অর্থপাচার অনুসন্ধানে হাইকোর্টের রুল খারিজ

এস আলম গ্রুপের বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয় অনুসন্ধানে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর ফলে এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের কোনো ধরনের অনুসন্ধান চলবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আহসানুল করিম। তবে চাইলে দুদক, বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্টরা নিজ উদ্যোগে অনুসন্ধান করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আদালতে।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার পর দুদককে অনুসন্ধান করার জন্য পরামর্শ দেব।

আদালতে এস আলমের পক্ষে ছিলেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও ব্যারিস্টার আহসানুল করিম। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এবং আবেদনকারী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া বিদেশে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ও অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে গত বছরের ৬ আগস্ট নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে দেশের বাইরে অর্থ পাঠানো হয়েছিল কি না এবং অর্থ পাচার হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চান আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সিআইডিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে মানি লন্ডারিং রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, অভিযোগ অনুসন্ধানে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।

তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে গ্রুপটির মালিক সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন লিভ টু আপিল করেন। শুনানি শেষে ২৩ আগস্ট চেম্বার জজ বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তার ওপর ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন।

৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হয়। আপিল বিভাগ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন। একইসঙ্গে স্থিতাবস্থার মেয়াদও একইদিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।