আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলনের স্বার্থে দণ্ডবিধি, ফৌজদারি ও দেওয়ানি কার্যবিধিসহ দেশের মৌলিক আইনসমূহের বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic Text) প্রণয়নে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এই কমিটিতে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, আইন কমিশনের একজন প্রতিনিধি, বাংলা একাডেমির একজন প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে দেশের মৌলিক আইনসমূহের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic Text) প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর।
তারা হলেন- অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো. আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আবদুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।
রিটে মৌলিক আইনসমূহ তথা দণ্ডবিধি, ১৮৬০; সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২; চুক্তি আইন, ১৮৭২; সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭; দেওয়ানি আদালত আইন (সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট), ১৮৮৭; সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২; ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮; দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮; তামাদি আইন, ১৯০৮; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ) রুলস, ১৯৮৮; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) রুলস, ১৯৭৩; ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস (প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর অব সাবর্ডিনেট কোর্টস), ২০০৯; সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস -এর বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।