জেলা প্রশাসককে (ডিসি) উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এসময় তিনি বিচার বিভাগের মামলাজট নিরসনে মাঠ প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বুধবার (৬ মার্চ) বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪ উপলক্ষে প্রধান বিচারপতি তার অভিভাষণে এ মন্তব্য করেন। অভিভাষণ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হচ্ছে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা। আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, সুশাসন ও সার্বিক জনকল্যাণ নিশ্চিতকরণের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মব্যাপ্তির মধ্য থেকে রাষ্ট্রের মালিক তথা জনগণের কল্যাণে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাওয়া।
তিনি উল্লেখ করেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ ও মাঠ প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক। তিনি এই পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সহযোগিতা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগকে আক্ষরিক অর্থে মানুষের আস্থার জায়গায় প্রতিষ্ঠাকরণের জন্য তিনি বিচার বিভাগের সার্বিক উন্নতি করণের লক্ষ্যে বিচার বিভাগ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের মামলাজট নিরসনে মাঠ প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি সর্বোচ্চ মাঠ প্রশাসক হিসেবে জেলা প্রশাসককে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
অভিভাষণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, বিভাগীয় কমিশনাররা ও জেলা প্রশাসকরা এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের রেজিস্ট্রার শাখার কর্মকর্তারা।