যশোরের কেশবপুর উপজেলা সহকারী জজ আদালতে বিচারকের কম্পিউটারের সিপিইউসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১০ মার্চ) ভোর রাতে বিচারক নাজনীন সুলতানার কম্পিউটারের সিপিইউসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি হয়।
আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের কাজকর্ম শেষে করে সহকারী জজ আদালতের কক্ষ তালাবদ্ধ করে চলে যান পেশকার মনিরুজ্জামানসহ অন্যরা কর্মচারীরা। রোববার ও সোমবার ব্যক্তিগত কাজে ছুটি নেন পেশকার মনিরুজ্জামান। ভারপ্রাপ্ত পেশকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শরিফুল আলম।
রোববার সকালে গিয়ে আদালতের কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পান শরিফুল। সেসময় আদালতে কেউ ছিল না। আদালতের পিয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালা খোলেননি বলে জানান। পরে বিষয়টি আদালতের বিচারক নাজনিন সুলতানাকে জানানো হয়। বিচারক চুরির ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশের দুই উপপরিদর্শক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভারপ্রাপ্ত পেশকার শরিফুল আলম জানান, তিনি সকালে গিয়ে আদালতের কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পান। তিনি এই এজলাসে নতুন। ফলে কী কী কাগজপত্র চুরি হয়েছে, তা তিনি বলতে পারেননি।
জেলা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাবর আলী জানান, বিচারক নাজনিন সুলতানার কম্পিউটারের সিপিইউসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় যশোরের কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. রাজ্জাক জানান, সহকারী জজ (কেশবপুর উপজেলা) আদালতে বিচারক নাজনীন সুলতানার কম্পিউটারের সিপিইউসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে থানায়। এখনো পর্যন্ত চুরির গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস উদ্ধার হয়নি এবং কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।