পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান ভূমি অফিসারসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন।
এর আগে ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে ১১টি হাটের কথা উল্লেখ করা হয়।
এর মধ্যে আফতাবনগর হাটের অংশ বাতিল চেয়ে সিটি করপোরেশনকে ৮ এপ্রিল আইনি নোটিশ দেন ইউনুস আলী আকন্দ। তাতে সাড়া না পেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
আইনজীবী জানান, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ আইনের ধারা ৩ (২) ও ১ম তফশীল অনুযায়ী আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) বাড্ডা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড অধীন, যা ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভূক্ত।
এ এলাকার কাউন্সিলরও ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত এবং ২০২৩ সালে ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন পশুর হাটের জন্য ইজার বিজ্ঞপ্তি দিলে রিট করার পর ওই ইজারা হাইকোর্ট স্থগিত করেন।
পরে নর্থ সিটি করপোরেশন আপিল করলে আপিল বিভাগ এল ব্লকের পর থেকে ২০২৩ সালের জন্য ইজারা দেওয়ার অনুমতি দেয়। ফলে গত বছর এল ব্লকের পর থেকে পশুর হাট হয়, কিন্তু হাইকোর্টের রিটের কারণে এ ব্লক থেকে এইচ ব্লক পর্যন্ত পশুর হাট গত বছর বসানো হয়নি।
আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং), ধানমন্ডি গুলশান বারিধারা বসুন্ধরার মতো রাজউক অনুমোদিত একটি পরিকল্পিত আবাসন এলাকা, এখানে বিচারপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে।
এ বিশাল আবাসন এলাকায় প্রায় ৭ হাজার প্লট বরাদ্ধ দেওয়া আছে। এ অবস্থায় ওই এলাকায় পশুর হাট হলে সমগ্র আফতাবনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।