জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর ফলে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের দায়িত্ব পালন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড যথারীতি চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনসংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দলটি থেকে বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা লিভ টু আপিলটি করেছিলেন। লিভ টু আপিলকারী পক্ষে ৫ মে সময়ের আরজি জানানো হয়েছিল।
আদালত ১২ মে শুনানির জন্য তারিখ রেখেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।
আদালতে জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গোলাম রব্বানী ও আবদুল্লাহ আল মামুন।
জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মো. ওয়াজি উল্লাহ ও খাজা তানভীর আহমেদ।
আরও পড়ুন: জি এম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ
পরে আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, লিভ টু আপিল খারিজ হওয়ায় জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকল। জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের দায়িত্ব পালন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড যথারীতি চালিয়ে যেতে পারবেন।
জিয়াউল হক মৃধার আইনজীবী গোলাম রব্বানী বলেন, আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টে রুল শুনানি করতে বলেছেন। এখন রুল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এর আগে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর দেওয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জি এম কাদেরের করা আবেদন ও বিবিধ আপিল খারিজ করে আদেশ দেন নিম্ন আদালত।
এ আদেশের বিরুদ্ধে জি এম কাদের হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে তাঁর আবেদন খারিজ করে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত এবং বিবিধ আপিল খারিজ করে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার জেলা জজের দেওয়া আদেশ অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
ফলে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালানোর ক্ষেত্রে বাধা কাটে।
এদিকে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে জিয়াউল হক মৃধা ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা একই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। এর মধ্যে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হওয়ায় আদালত আবেদনকারীকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেন।
পরে জিয়াউল হক মৃধা লিভ টু আপিল করেন, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। এই লিভ টু আপিল আজ খারিজ হলো।